মো. শাহজাহান মিয়া::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মোট ৭ জন প্রার্থী।
তারা হলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এমএ কাহার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, কয়ছর এম আহমদ, নাদির আহমদ, মেজর (অব.) সৈয়দ আলী আশফাক সামী, আবদুস ছাত্তার ও এমএ মালেক খান।
এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ। তা মেনে নিতে পারেননি অন্য প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে শুধু আবদুস ছাত্তার কয়ছর এম আহমদকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে বাকি মনোনয়নবঞ্চিতরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। পাশাপাশি তাকিয়ে রয়েছেন বিএনপি’র চূড়ান্ত মনোনয়নের দিকে। মনোনয়নবঞ্চিতদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ভোটের মাঠে ধানের শীষের প্রার্থী কয়ছর এম আহমদকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এছাড়া বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই বিষয়টিও টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দেখা দিবে ভোটের মাঠে। নানা সমীকরণে বিএনপি’র মনোনয়নবঞ্চিতরা তাকে সমর্থন জানাতে পারেন।
এদিকে, বাকি প্রার্থীরা এখনো হাল ছাড়েননি। তারা কেন্দ্রীয় বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছেন পুনঃবিবেচনার আশায়। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রার্থী এমএ কাহার। তিনি এখনো বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আশাবাদী দল পুনঃবিবেচনা করলে তাকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। এমন আশায় তিনি নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন এবং জনসমর্থন আদায়ে সভা, সমাবেশসহ গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া এ আসনে পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে প্রার্থী বদল না হলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েবেন দলীয় প্রার্থী কয়ছর এম আহমদ।
কারণ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে জানান, এ অঞ্চলে বিএনপি এমনিতেই দুইভাগে বিভক্ত। কয়ছর এম আহমদ নিজ পছন্দের নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এতে বঞ্চিত হন দলের ত্যাগী অনেক নেতাকর্মী। যার প্রভাব নির্বাচনী মাঠে পড়বে।
দলীয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় শুরু থেকে এমপি প্রার্থী এমএ কাহার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, নাদির আহমদ ও মেজর সৈয়দ আলী আশফাক সামীসহ ৪ প্রার্থী এক সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল তাদের মধ্যে যে কেউ দলীয় মনোনয়ন পেলে তারা একযোগে কাজ করবেন নির্বাচনী মাঠে। তা আর হয়নি। তারা কেউই দলীয় মনোনয়ন পাননি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন। কারণ এবারের নির্বাচনে ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা থেকে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘আঞ্চলিক ভোট ব্যাংকে’র কারণে তিনি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। ফলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী কয়ছর এম আহমদ।
আবার বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে প্রাথমিক মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কেউ চূড়ান্ত বিবেচনায় দলীয় প্রার্থী মনোনীত হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন নির্বাচন থেকে সরেও দাঁড়াতে পারেন -এমন বিষয় নিয়ে ভোটের মাঠে আলোচনা চলছে। ফলে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির আর বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকার সম্ভাবনা বেশি। এতে অন্য দলের প্রার্থীদের সাথে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো সুবিধাজনক অবস্থানে ফিরে আসতে পারে বিএনপি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
সুনামগঞ্জ-৩
বিএনপি’র মনোনয়নবঞ্চিতরা ঐক্যবদ্ধ, চ্যালেঞ্জের মুখে দলীয় প্রার্থী
- আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৫ ১০:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৫ ১০:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সুনামকণ্ঠ